ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণ চাইলো বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম

সিভিল প্রশাসনে কর্মরত সকল ক্যাডার, ননক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর ও দুর্নীতিপরায়ণ, তাদেরকে অবিলম্বে চাকরি থেকে অপসারণ এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
১৯ এপ্রিল শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো-
* নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিত করার স্বার্থে সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
* ফ্যাসিস্ট আমলে বৈষম্যের শিকার বর্তমানে কর্মরত সকল ক্যাডার, ননক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে।
* বৈষম্যের শিকার এখনো বঞ্চিত সকল ক্যাডার৷ ননক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পদোন্নতিসহ প্রাপ্য সকল সুবিধা প্রদান করতে হবে।
* আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর ও দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও পদায়নে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বা করবেন, তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা একটি রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হয়েছিল। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচন, ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং রাতের অন্ধকারে ভোট গণনার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা হয়েছিল।প্রশাসন, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের বদলি, হয়রানি, চাকরিচ্যুতি এবং এমনকি কারাবাসের শিকার হতে হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী এবং বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের উপর দমন-পীড়ন, ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনে গুলি, সাংবাদিকদের গ্রেফতার—এসব ছিল ফ্যাসিস্ট শাসনের নৃশংসতার প্রকাশ।আমরা, যারা আজ এখানে উপস্থিত, তাদের অনেকেই বিপুল ঝুঁকি নিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট আমরা ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং কোটা আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করেছি। আমরা সকলেই জানি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ছিল অন্ধকার থেকে আলোর পথে এক ঐতিহাসিক অভিযাত্রা। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে বিধায় সমগ্র জাতির সাথে সাথে আমরাও আশা করেছিলাম, এর ফলে প্রশাসনে সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সত্য প্রশাসনের উচ্চপদে কিছু পরিবর্তন হলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পূর্বের ফ্যাসিস্ট সহযোগী ও দলবাজ কর্মকর্তারাই বহাল রয়ে গেছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

দুদকের মামলা : আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর দন্ডাদেশ বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার

বিএনপির তৃণমূলের কর্মীদের কাছে পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া কেউ নেতা হওয়ার সুযোগ নাই: আবুল কালাম

বিরামপুর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, পেয়েছে নানা অনিয়ম

মাছ রক্ত,স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

এই গরমে ত্বকের রোগ

ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা

পান সুপারি ক্ষতিকর